২০ ডিসেম্বর বুধবার, শীতের সকাল
বাইরে একটু হালকা কাজ করছিলাম, বলতে গেলে সম্মিলিত কাজে সাহায্য। হঠাৎ করেই একজন ব্যক্তি কে দেখে কিছুটা বিষ্মিত হলাম। লোকটি নাউযুবিল্লাহ বলতে বলতে হেঁটে আসছিল, আমিও কাজ করছিলাম। তার চলন দেখে আমার এটা বুঝতে সমস্যা হল না যে, লোকটি বর্তমানে মানসিকভাবে রোগাক্রান্ত । হঠাৎ উনি থেমে গেলেন আমার কাছে এসে । আমাকে দেখে বললেন :
-কোন ক্লাসে পড়েন, বাবা? মাদ্রসায় পড়েন?
-আমি অপ্রস্তুত ভাবে বললাম আমি স্কুলে পড়তাম।
-বাবা একটা প্রশ্ন করব উত্তর দিতে হবে?
-আমি বললাম আমি তো কাজ করতেছি (আমি ভেবেছিলাম কি যে প্রশ্ন করে ! হাদীস কোরআন থেকে প্রশ্ন করলে তো পারবনা । তাই ভয় লাগছিল। )
-পরে আমাকে বললেন তুমি এত কম বয়সে সুন্নত রাখছেন , তোমার বয়সী ছেলেরা সুন্নাত রাখে পরে কেটে ফেলে? সুন্নাত দাঁড়ি রাখছেন বাবা যত কিছুই হোক কাটবে না, দাঁড়ি কাটলে আল্লাহ কঠিন শাস্তি দিবেন।
-হ্যাঁ । আমি দাঁড়ি রেখেছি কাটব না...
-শোন যদি তোমার বউ এইটা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে তোমার ঘর করতে না চায় , দরকার নেই অমন বউয়ের , বেহেশতে হুর পরী আছে ;
-আমি হাসি মুখে মাথা নেড়ে সায় দিলাম।
-উনি এও বললেন যে, উনি যেভাবে চান উনার স্ত্রী সে ভাবে চলেন না ; এবং উনাকে রেখে চলে গেছেন। যাক অমন বউয়ের দরকার নেই উনার , সেই কথা বললেন ।
এটা বুঝলাম না উনি হঠাৎ আমাকে নসিহত কেনই বা করলেন , তার এমন মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় কথার ত্রুটিও তো খুঁজে পেলাম না....